নিজস্ব প্রতিনিধি August 10, 2024

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ডাক বিভাগের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কেন্দুয়া পোস্ট অফিসের ‘পোস্ট মাস্টার’ শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ডাক কর্তৃপক্ষ। গত ৭ জুলাই কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশের পরদিন পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর স্থলে মধুভূশন সরকার নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১০ জুলাই মোহনগঞ্জ  উপ-বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসিফ করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা সদর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে- পোস্ট মাস্টার শাহেদুনাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিমূলকভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহারের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারে সরকারি অর্থ আত্মসাত করেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি ডকুমেন্টস ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তকালে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন।

অসদাচরণ ও আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ),  ধারা ৩৯ (১) ও বিধি ১২(১) অনুযায়ী শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে নেত্রকোনা সদর থেকে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে যোগদান করেন। তবে বদলি হওয়ায় সময় সদর অফিস থেকে এক নারীর পুরোনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সাথে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। কেন্দুয়ায় গিয়ে ওই ভাঙানো সঞ্চয়পত্রে থাকা লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাত করেন তিনি। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রমাণাদি তিনি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি ডাক বিভাগের নজরে এলে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য তদন্ত কমিটি করা হয়। এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও মোহনগঞ্জ উপ-বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিম। এদিকে তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের সাথে অসদাচরণ করেন শাহেদুন্নাহার। ওই কমিটি তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। তাদের প্রতিবেদন পেয়ে কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।  এ বিষয়ে জানতে বরখাস্তকৃত পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি August 07, 2024

গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের পর নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান ফখরুল। ওই সময়ের একটি ছবি প্রচার করেছে বিএনপি। তাতে খালেদা জিয়াকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি উপলক্ষে হাসপাতালে যান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁর সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

সূত্রঃ যায়যায়দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি August 07, 2024

 ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১৫ সদস্যের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দীর্ঘ বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিয়েছেন। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সদস্য কারা হবেন, সে বিষয়ে ১৫ জনের নামের একটি তালিকা তাঁরা দিয়েছেন। যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধত্ব রয়েছে। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে। তাঁরা আশা করছেন, ২৪ ঘণ্টা বা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত হবে।

সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এই সময়ে এটাকে বিভিন্নভাবে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়ম আছে সেটা অনুসরণ করা হবে। সরকারের মেয়াদ এখনো ঠিক করা হয়নি।’ বঙ্গভবনে বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকালই ভোরে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আজ বুধবার কিংবা কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিতে পারেন বলে সরকারি সূত্রগুলো বলছে। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দুই দিন ধরে দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের তাগিদ দিয়ে আসছিলেন।

বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোট যারা গত সোমবার রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে, তাদের ড. ইউনূসের ব্যাপারে সম্মতি আছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্ররা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করায় বিষয়টা আলোচনায় আসে।

দায়িত্ব নেবেন ড. ইউনূস

ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে গতকাল গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেবেন। ড. ইউনূস বিবিসিকে বলেছেন, ‘যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন, তাহলে আমি কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করি?’

ড. ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আছেন। আজ কিংবা আগামীকাল তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। এরপর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও একই সঙ্গে দায়িত্ব নেবেন, নাকি পরে দায়িত্ব নেবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

Muhammad Yunus - Wikipedia

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা কত হবে, কারা এতে জায়গা পাবেন—এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও দেশের মানুষের মধ্যে নানা জল্পনাকল্পনা আছে। বিভিন্ন তালিকাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেহেতু সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন, ফলে সরকারে আর কারা থাকবেন, সে ব্যাপারে তাঁর মতামতও প্রয়োজন হবে।

এ ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিশেষ ভূমিকা থাকবে বলেও আলোচনা আছে। গুরুত্ব পেতে পারে সেনাবাহিনীর মতামতও।

কারা আসতে পারেন সরকারে

বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সোমবার দুই দফা বৈঠক করেন। দলগুলোর সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামরিক-বেসামরিক সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ থাকতে পারে।

এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি রাষ্ট্রপতি কিংবা সেনাবাহিনীর প্রধান।

২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়। এর আগে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যরা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতেন। এবারও সেই কাঠামো অনুসরণ করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতি গতকাল সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এখন দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। ফলে নতুন যে সরকার গঠিত হবে, এর প্রধানসহ অন্যরা অনির্বাচিতই হবেন।

সোমবার দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। তিনি এখন ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.