নিজস্ব প্রতিনিধি November 20, 2023

 ১০টি সেরা ভিডিও এডিটিং ফ্রি  সফটওয়্যার  | Top 10 Video Editing Free Software Download

ভিডিও এডিটিং কি?

Jared Nelson- এর মতে, Video editing is the process of piecing together video clips, images, and sounds to create a movie. অর্থাৎ, ভিডিও ক্লিপস, ছবি, অডিও ফাইল- এই সকল কিছু পাশাপাশি বসিয়ে যখন নতুন কোনো গল্প বলার উদ্দেশ্যে একটা নতুন ভিডিও তৈরি করা হয়, তখন সে প্রক্রিয়াকে ভিডিও এডিটিং বলে। এডোবি প্রিমিয়ার প্রো, ফিলমোরা- এমন কিছু সফটওয়্যার ভিডিও এডিটিং জগতে বেশ জনপ্রিয়।


ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

এমন অনেক ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, যা দিয়ে বেশ ভালোভাবেই ভিডিও এডিট করা সম্ভব। এমন কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়ার হলো-


১. VSDC Free Video Editor

ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে VSDC Free Video Editor আছে শীর্ষে। পেইড সফটওয়্যারের মতো এখানে কোনো ওয়াটার মার্ক থাকে না, আর এডিট করা ভিডিওর কোয়ালিটিও বেশ ভালো হয়। এই সফটওয়্যারে তুমি ফাইল সেভ করার বেশ কিছু ফরমেট পেয়ে যাবে, যা তোমাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিডিও পাবলিশ করতে সাহায্য করবে


২. OpenShot

ফ্রি হলেও এই সফটওয়্যারে টুলের পরিমাণ অন্য আরো দশটা ফ্রি সফটওয়্যারের চেয়ে বেশি। Drag and Drop টুল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই তুমি এখানে ভিডিও ইমপোর্ট করতে পারবে, কাটতে পারবে, জোড়া দিতে পারবে, পারবে পছন্দমতো অডিও ফাইল যুক্ত করতে।


৩. Lightworks

তুমি যদি প্রফেশনাল লেভেলের ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার চাও, তবে তোমার জন্য আছে লাইটওয়ার্কস। তুমি জেনে অবাক হবে, হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘উলফ অফ ওয়াল স্ট্রীট’, ‘পাল্প ফিকশন’ এই সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করা হয়েছিলো। যদিও এর বেশ কিছু ফিচার আনলক করতে হলে তোমাকে পয়সা গুণতে হবে, কিন্তু এর ফ্রি ভার্সনটাও তোমাকে হতাশ করবে না।


৪. Shotcut

শর্টকাট হলো আরেকটি ওপেন সোর্স ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার, যেখানে ওয়াটারমার্ক ছাড়াই ভিডিও ফাইল সেভ করা যায়। নব্য এডিটরদের কাছে এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এই সফটওয়্যারের সবচেয়ে অসাধারণ দিক হলো, এতে নেটিভ টাইমলাইন এডিটিং ফিচার রয়েছে, ফলে তোমাকে নতুন করে এখানে ভিডিও ফাইলগুলো ইমপোর্ট করতে হবে না।


৫. Apple iMovie

MacOs এবং IOS-এর জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এটি, যার সাহায্যে 4k ভিডিও এডিট করা সম্ভব। এর ইউজার ইন্টারফেস খুব সহজ এবং নতুন এডিটররা স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে কাজ করতে পারে। তবে সবচেয়ে দারুণ বিষয় হলো, তুমি তোমার আইফোন বা আইপ্যাড দিয়ে ভিডিও এডিট শুরু করে, পরে তা তোমার ম্যাকবুকে কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই ট্রান্সফার করতে পারবে।


৬. Apple Final Cut Pro

পেশাদারদের কাছে এই সফওয়্যারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এই এডিটিং সফটওয়্যার ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও, মাল্টি ক্যামেরা অপশন- এমন সকল ফিচার সম্বলিত। এতে আছে অবজেক্ট ট্র্যাকিং মোড, কালার কারেকশন মোড-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো, যার মাধ্যমে তুমি তোমার ভিডিওতে সিনেম্যাটিক লুক দিতে পারবে।



৭. Hitfilm Express

বিনামূল্যে পাওয়া এই সফটওয়্যারেও তুমি ওয়াটারমার্ক ছাড়াই ভিডিও এডিট করতে পারবে। মোশন ট্র্যাকিং ফিচার, এনিমেশন, ভিডিও এফেক্ট- এগুলো বিনামূল্যে পেলেও, কিছু ফিচার আনলক করতে হলে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। সিনেমায় বা গেমসে দেখানো গোলাগুলির দৃশ্যের এফেক্টগুলো, কিংবা সাই-ফাই সিনেমার এলিয়েন শিপের এফেক্ট- প্রায় সবই বিনামূল্যে এখানে ব্যবহার করতে পারবে।

৮. Video Grabber

এটা আসলে একটা অনলাইন ভিডিও এডিটর, এটা ব্যবহার করতে হলে তোমাকে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না। ভিডিও ক্লিপ কেটে GIF বানানো, ভিডিও থেকে অডিও অংশটুকু কেটে নেয়া, দুটো ভিডিও জোড়া দেয়া, ভিডিও ক্রপ করা, রোটেট করা, সাবটাইটেল যুক্ত করা- এইসকল বেসিক ভিডিও এডিটিংগুলো এখানে করা সম্ভব। তাছাড়া এই এডিটর তুমি ফোনেও ব্যবহার করতে পারবে।



৯. Clipchamp

এটি মাইক্রোসফটের একটি ফ্রি অনলাইন এডিটর, এর দ্বারা কোনো প্রকার ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ভিডিও এডিট করা সম্ভব। অন্যান্য ভিডিও এডিটিং সফটোওয়্যারের মতো এখানেও ভিডিও কাটা, জোড়া দেয়া, কালার কারেকশন করা- এমন সব বেসিক কাজগুলো করা সম্ভব।



১০. Blender

টু-ডি এবং থ্রি-ডি এনিমেশনের কাজের জন্য এই ফ্রি সফটওয়্যারটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রফেশনাল লেভেলের কাজগুলোও এর মাধ্যমে করা সম্ভব। পিসির কনফিগারেশন কম হলে এখানে থাকা প্রক্সি রেন্ডারিং তোমাকে সাহায্য করবে। লেন্স কারেকশন, স্পিড কন্ট্রোল, স্ট্যাবিলাইজেশন- এমন হাজারো অপশন তুমি এখানে পেয়ে যাবে, তবে এটি শেখার জন্য তোমাকে বেশ কিছুদিন সময় ব্যয় করতে হবে।


সবগুলো সফটওয়্যার গুগুলে পেয়ে যাবেন ফ্রী তে |

Post a Comment

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.