এই মাত্র পাওয়া

অর্শ বা পাইলস কি, কেন হয়, লক্ষণ সমূহ | হোমিওপ্যাথি ও ঘরোয়া চিকিৎসা

Symptoms of Piles
অর্শ বা পাইলস কি, কেন হয় লক্ষণ সমূহ, হোমিওপ্যাথি ও ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস

পাইলস বা হেমরয়েড্স হলো একটি আমুদ্রের সমস্যা, যা সমাজে একটি মন্দগতি প্রদর্শন করে এবং কমলে আপনার জীবনে অসুখের কারণ হতে পারে। পাইলস বা হেমরোইডস হলো একটি মলাশয়ের একটি রোগ যার ফলে বায়ু, মল এবং প্রজালে প্রদাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার ফলে প্রাথমিকভাবে ব্যথা, জ্বর, অস্বস্তি এবং রক্তস্রাব হয়ে থাকে।

পাইলসের দুই প্রকার :

  • বাহ্যিক পাইলস
  • অভ্যন্তরীণ পাইলস।

বাহ্যিক পাইলস হলো মলাশয়ের বাইরের পাইলস, যেগুলো মলাশয়ের বাইরে বেরহয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ পাইলস হলো মলাশয়ের ভেতরে গুলি, যা প্রকারে ক্ষেত্রে বায়ুর সাথে মিশে থাকে।

পাইলস এর উপায়ে চিকিৎসা সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি ঔষধ এবং স্থায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সেইসাথে সমস্যা এবং উপকারী ঔষধ খাওয়া নিয়ম মেনে চলা চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনার যদি পাইলসের লক্ষণ দেখা যায়, তা ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ভালো জানে এমন ডাক্তারের সাথে পরামর্শের করুন।

এই নিবন্ধে, আমরা পাইলসের লক্ষণ, সমস্যা, চিকিৎসা এবং এই সমস্যার সাথে যোগাযোগ করার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব।

পাইলস কেন হয়?

কিছু কিছু জিনিস পাইলস এর ঝুঁকি বাড়ায়, সেই সাথে ইতোমধ্যে কারো পাইলস রোগ হয়ে থাকলে তার তীব্রতাও বাড়িয়ে দেয়, যেমন—

  • শক্ত বা কষা পায়খানা
  • মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেয়া
  • অনেক সময় ধরে মলত্যাগের কসরত করা
  • পায়খানার বেগ আটকে রাখা
  • শারীরিক পরিশ্রম না করা 
  • অতিরিক্ত ওজন

এছাড়া গর্ভাবস্থায় নানান শারীরিক পরিবর্তনের কারণেও কারও কারও ক্ষেত্রে পাইলস এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বাভাবিক অবস্থায় পায়খানার রাস্তা বা পায়ুপথের মুখ সাধারণত বন্ধ থাকে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন চাপ দিয়ে পায়ুপথের মুখ খুলে শরীর থেকে পায়খানা বা মল বের করে দেওয়া হয়।

পায়ুপথের মুখ বন্ধ রাখতে সেখানে বেশ কিছু জিনিস একসাথে কাজ করে। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল অ্যানাল কুশন। এই কুশনগুলো ৩ দিক থেকে চাপ দিয়ে পায়ুপথের মুখ বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।

যদি কোনো কারণে তিন দিকের এই কুশনগুলো ফুলে যায়, সেগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হয়, সেগুলো নিচের দিকে নেমে যায়, অথবা পায়ুপথের চারপাশে গোটার মত দেখা যায়, তখন তাকে পাইলস বা অর্শ রোগ বলা হয়ে থাকে।

পাইলসের লক্ষণ:

রক্তের বৃদ্ধি: পাইলসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো বৃদ্ধি বা গোলকেয় সুজ যা গুদের বাইরে বা ভেতরে দেখা যায়।

ব্যাথা এবং অস্বস্তি: পাইলসের সাথে সাথে ব্যাথা এবং অস্বস্তি অনুভব করা হয়, সাধারণভাবে বৃদ্ধির জোরে বা প্রশ্রয়নে এটি বেশি হতে পারে।

রক্তস্রাব: পাইলসের কারণে কিছু সময় গুদে রক্তস্রাব হতে পারে, যা লোহিত ক্যালারে হতে পারে এবং এটি পায়ে অসুখের অভিনয় হতে পারে।

প্রস্রাবন অনুভব করা: পাইলসের কারণে প্রস্রাবনের সময় বা পরবর্তীতে প্রস্রাবনের সময় ব্যথা অনুভব করা সাধারণ হতে পারে।

মলদ্বার এলাকায় বায়ুত্ব: পাইলসের সাথে মলদ্বার এলাকায় বায়ুত্ব অনুভব করাও ।

পাইলসের সমস্যা:

ব্যক্তিগত সমস্যা: পাইলস সাধারণভাবে ব্যক্তিগত সমস্যা, যা ব্যক্তিগত জীবনে অসুখের কারণ হতে পারে। এটি ব্যক্তিগত জীবনের সাথে ব্যক্তিগত সমস্যা এবং আত্মবিশ্বাস হ্রাস করতে পারে।

প্রাকৃতিক সমস্যা: পাইলসের কারণে ব্যক্তির প্রাকৃতিক সমস্যাও হতে পারে, যেমন স্থলানুসারী স্থানে স্যানিটেশন প্রশ্ন, স্থূলবাদ, এবং অন্যান্য সমস্যার সাথে অধিক মানসিক আপত্তি সহিত থাকতে পারে।

পাইলসের চিকিৎসা এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ:

যখন আপনি পাইলসের সাথে সমস্যা অনুভব করেন, তখন অবশ্যই একজন চিকিৎসকে দেখাবেন। একজন প্রশাসনিক ডাক্তার বা প্রোক্টলজিস্ট আপনার সমস্যার সঠিক নিরীক্ষণ করে এবং চিকিৎসা প্রদান করবেন। চিকিৎসক আপনাকে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে নির্দেশ করবেন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ বা অপারেশনের সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন।

চিকিৎসা সাধারণভাবে আমুদ্রে হয় এবং কোনও গম্বুজ বা স্থলানুসারী স্থানে প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণভাবে, ঔষধ এবং স্থানীয় চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু গতিশীল পাইলস বা সমস্যার জন্য অপারেশন সাধারণভাবে প্রয়োজন হয় না।

পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়

পাইলস বা হেমরোইডস রোগের চিকিৎসা ভালো করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক উপায় রয়েছে:

1. বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা: প্রাথমিক উপায় হিসেবে, পর্যাপ্ত পানি পান করা, প্রাকৃতিক খাবার খেতে সাবধান থাকা, সক্রিয় জীবনযাপন এবং বয়স করা খোলামেলা সম্পর্কিত প্রমোশন করা গুরুত্বপূর্ণ।

2. দক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ও চিকিৎসা: যদি পাইলসের লক্ষণ প্রসারিত হয়, তবে দক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের জন্য দ্রুত যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ মেনে চলে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে যেতে পারে।

3. ঔষধ প্রয়োগ: কিছু পাইলস এর উপকারী ক্রিম, গোলাপী তেল, এবং পিলস জনিত ব্যথা মোক্ষণ এর জন্য ঔষধ প্রয়োগ করা হতে পারে।

4. লেজার থেরাপি: সেভ অপারেশন পাইলস এর জন্য লেজার থেরাপি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যা আপনার পাইলস সমস্যার সাথে সাথে ব্যাপকভাবে সম্প্রদায়গত চেয়ার ভাগের ক্ষেত্রে সক্ষম হয়।

5. স্থায়ী সমাধান: প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে উপকার না পাওয়া গেলে পাইলসের জন্য স্থায়ী সমাধান যেমন স্ক্লেরোথেরাপি, ব্যাণ্ডিং বা পুল্লিঙ প্রক্রিয়ার মতো প্রক্রিয়াগুলি ভালো হতে পারে।

উপরে উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রয়োগের মধ্যে সম্মিলিত সামগ্রী যেমন আপনার অবস্থার উপর নির্ভর করে। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শের প্রয়োজন থাকতে পারে।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কিছু উপায়ে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এই প্রক্রিয়াগুলি সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে:

1. সিটজ বাথ: গরম পানিতে অস্থির থাকা এবং প্রস্তুতির ব্যথা কমাতে সিটজ বাথ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রকারে পাইলস থেকে বুদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।

2. শুকনো পানির বাথ: পাইলস স্থানে শুকনো পানির বাথ করা হতে পারে, যা প্রস্তুতির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

3. ধূপস্নান: পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা গুলির একটি হতে পারে ধূপস্নান এর ব্যবহার, যা প্রস্তুতির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

4. সুশ্রাব: এটি সাধারণভাবে পাইলস থেকে বুদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

5. পাইলস বাম বা প্রস্তুতি মলাশয়ের উপর দাবি: কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা হল পাইলস বাম বা প্রস্তুতি মলাশয়ের উপর দাবি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে।

এই ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োজনে এই উপায়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, কিন্তু যেকোনো প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং উপযুক্ত প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করুন।

কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন?

পাইলসহলে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। যেমন—

  • টানা ৭ দিন বাসায় চিকিৎসা নেয়ার পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে
  • বারবার পাইলস এর সমস্যা হলে
  • ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কারও প্রথমবারের মত পাইলস এর লক্ষণ দেখা দিলে
  • পাইলস থেকে পুঁজ বের হলে
  • জ্বর বা কাঁপুনি হলে, অথবা খুব অসুস্থ বোধ হলে
  • অনবরত রক্তক্ষরণ হলে
  • অত্যধিক রক্তপাত হলে (উদাহরণস্বরূপ, যদি কমোডের পানি লাল হয়ে যায় বা পায়ুপথ দিয়ে  রক্তের বড় বড় চাকা যায়)
  • তীব্র, অসহনীয় ব্যথা হলে
  • পায়খানার রঙ কালচে বা আলকাতরার মত কালো মনে হলে

পাইলস এর অপারেশন

ঘরোয়া চিকিৎসার উপদেশ এবং ডাক্তারের ঔষধ সেবনের পরামর্শগুলো সঠিকভাবে মেনে চলার পরেও যদি অর্শ রোগের এর সমাধান না হয়, সেক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দিবেন। সাধারণত ৩ ধরনের অপারেশন করা হয়ে থাকে—

১. হেমোরয়েডেকটোমি: এই অপারেশনের মাধ্যমে পাইলস এর গোটাগুলো কেটে অপসারণ করা হয়। 
২. স্টেপলড হেমোরয়েডোপেক্সি: এই পদ্ধতিতে সার্জারির মাধ্যমে পাইলস এর গোটাগুলো পুনরায় পায়ুপথের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

৩. হেমোরয়েডাল আর্টারি লাইগেশন: এক্ষেত্রে পাইলস এর গোটাগুলোর রক্ত সরবরাহ অপারেশনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়, যাতে গোটাগুলো শুকিয়ে যায়।

এসব অপারেশনের জন্য সাধারণত এনেসথেসিয়া বা চেতনানাশক ব্যবহার করে রোগীকে অজ্ঞান করা হয় এবং সার্জারির পর দুই-একদিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হতে পারে।

এলোপ্যাথিক চিকিৎসা : অর্শের কোনো সুচিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনো গতি নেই। কিন্তু তাতেও রোগ নির্মূল হতে পারে না। অতএব প্রথম থেকেই অর্গানন অনুসরনকারী হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে পুরাতন রোগ বীজ রোগীর দেহে বর্তমান রোগের সৃষ্টি করেছে সেই ধাতুগত দোষ দূরিকরণার্থে উপযুক্ত ওষুধ সেবন না করলে শুধু অস্ত্রোপচার বা এলোপ্যাথি ওষুধ খেলে কোনো লাভ হবে না।

শেষ কথা:

পাইলস একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা যা সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের সাথে সমাধান করা যেতে পারে। যদি আপনি পাইলসের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকে দেখানো গুরুত্বপূর্ণ এবং সমস্যার সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হবে। প্রচেষ্টা করতে ভুলবেন না এবং আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে যেন পাইলসের সমস্যার জন্য আপনি সার্থক চিকিৎসা এবং যত্ন পেতে পারেন।

আজকের সেরা খবর গতকালের সেরা খবর