[২] শাড়ি ক্যান্সার শুধুমাত্র ভারতে দেখা যায়, কারণ ভারতে নারীরা সবচেয়ে বেশি শাড়ি পরেন। শুধু শাড়ি নয়, আরও অনেক ধরনের জামাকাপড় আছে যা ভুলভাবে পরলে ক্যান্সার হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।
[৩] দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জন ডাঃ বিবেক গুপ্তা বলেছেন, গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে পেটিকোটের দড়ি বাঁধা থাকে বলে ওই অংশে কালশিটে পড়ে যায় কারও কারও। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে ঘা পর্যন্ত হতে পারে আর সেখান থেকেই এই ক্যনসারের সূত্রপাত হয়।
[৪] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে পাওয়া মোট ক্যান্সারের মধ্যে ১ শতাংশ ক্ষেত্রেই শাড়ির ক্যান্সার। মুম্বাইয়ের আরএন কুপার হাসপাতালেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। শাড়ি ছাড়াও ধুতিও ছিল এই গবেষণায়। এই শাড়ি ক্যান্সারের নামটি মুম্বই হাসপাতালের ডাক্তাররা দিয়েছিলেন যখন এরকম কেস প্রথম সেখানে দেখা যায়। সেসময় এই ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, যিনি ১৩ বছর বয়স থেকে শাড়ি পরেছিলেন।
[৫] গবেষণা থেকে বলা হচ্ছে, যদি কাপড় থেকে ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে তাহলে তা পরা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি ত্বক কোনও পোশাক পরার কারণে লাল হয়ে যায় তবে এটি পরা যাবে না। যদি শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে এবং ত্বক ঘষা খেতে শুরু করে তাহলে, এই ধরনের পোশাক পরা এড়িয়ে চলতে হবে।