মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ
একটি মোবাইল চুরির বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর গ্রাম্য সালিশিতে সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায় স্বাক্ষীদ্বয়ের উপর হামলা দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে মো: আক্কাছ মিয়া ও পাইকুড়া গ্রামের মৃত তুফানির ছেলে জাহেদ কেন্দুয়া থানায় ১৬ জনের বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে
জানা যায় একটি মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে গ্রাম সালিশি
বসে। ওই গ্রাম সালিশিতে আক্কাছ মিয়া ও কামাল সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায়
তাদেরকে পথে ঘাটে অপমানসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে করে আসছিলো ওই গ্রামের
মৃত জাফর আলী ফকিরের ছেলে ফারুক গংরা। এরই মধ্যে গত ১৫ ই এপ্রিল দেশীয়
অস্ত্রে শস্ত্রে সজিত হয়ে আক্কাছ ও
অন্যান্য লোকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। আক্কাছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন
হামলাকারীরা তার মনোহারী দোকানপাট ভাংচুর করে এবং কিছু নগদ টাকাও নিয়ে যায়।
এ ঘটনা মিমাংসার লক্ষ্যে গত ১৬ই এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কমিউনিটি পুলিশের পক্ষ্য থেকে উদ্যোগ করা করা হয়। কিন্তু আক্কাছ মিয়ার অভিযোগ মিমাংসার প্রস্তাব পেয়ে তারা সালিশেতে বসতে রাজি থাকলেও প্রতিপক্ষ্যের জাহেদ, ফারুক, ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিশে বসার আগের দিনেই আক্কাছ মিয়া ও তাদের লোকদের উপর হামলা চালায়। এলোপাতারি হামলায় আক্কাছ ও তার গ্রুপের লোকজন গুরুতর আহত হয়। আক্কাছ এই ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী হোসেন পিপিএম বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু এক পক্ষ যদি মিমাংসায় বসতে রাজি হয়ে পরবর্তীতে গ্রাম সালিশ বৈঠকের আগেই প্রতিপক্ষের লোকদের উপর হামলা চালায় সে ক্ষেত্রে আইনী কঠিন প্রদক্ষেপ ছাড়া আর কী করা আছে? মিমাংসার প্রস্তাব না মানার কারণে আর মিমাংসা হয়নি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।